Auto Ads 1

ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

The benefits of coconut



ডাবের পানি হলো কচি ডাবের ভেতরে থাকা রস। ডাব পেকে যখন নারিকেল হয় তখন ভিতরে থাকা ডাবের পানি কমে যায়, ডাবের পানি কমে নারিকেলের শাঁস তৈরি হয়।কচি ডাবের ভিতরে খুবই অল্প পরিমাণে শাঁস থাকে।

ডাবের পানিকে বলা হয় প্রাকৃতিক স্যালাইন। যাঁরা সমুদ্র উপকূলে থাকেন বা রোদে কাজ করেন, তাঁরা দিনে দু-তিনটি ডাব খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ডাবের পানিতে থাকে উপকারী উৎসেচক বা এনজাইম যা হজমে বেশ কার্য্যকরি।ভারি কিছু খাওয়ার পর ডাবের পানি খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে ডাবের পানি খুবই কার্য্যকরি । তাই ক্ষতিকর খাবারের পরিবর্তে ডায়েটে রাখতে পারেন ডাবের পানি।

ডাবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম।শরীরে খনিজের অভাব পুরন করে দিতে পারে ডাবের পানি।

ডাবের পানির মধ্যে রয়েছে বিশেষ মূত্রবর্ধক উপাদান। যা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট পরিষ্কারে রাখতে সাহায্য করে।এবং শরীরে শক্তি জোগাতে খুবই কার্য্যকরি ভূমিকা পালণ করে ডাবের পানি। এ ছাড়া এটি থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন বাড়াতে খুবই সহায়ক।

ব্য্যয়াম বা কঠোর পরিশ্রম করার পর এক গ্লাস ডাবের পানি খেলে শরীরের শক্তি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে খুবই কার্য্যকরি ভূমিকা রাখে।

নিয়মিত এক গ্লাস ডাবের পানি পান করতে পারলে ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত ডাবের পানি ব্যবহারে মুখের ব্রণের সমস্যা হ্রাস পায় ।

ডাবের পানি দ্রুত হজমে বেশ সহায়ক। দৈনন্দিন বা নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে পেটের গ্যাসট্রিকের সমস্যা দুর হয়। ডাবের পানি পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ইউরিনারি ট্র্যাক্টে সংক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করে।

ডাবের পানির উপাদানঃ
  • পানি – ৯৫.৫%
  • ক্যালসিয়াম - ০.৬৯
  • পটাসিয়াম – ০.২৫%
  • ফসফরিক অ্যাসিড – ০.৫৬%
  • ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড - ০.৫৯
  • নাইট্রোজেন – ০.০৫%
গ্রাম/প্রতি ১০০ গ্রামে
  • লৌহ - ০.৫
  • চিনি - ০.৮০
  • আঁশ - ০.৬২
যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে অবশ্যয় আপনার শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ডাবের পানি যে শুধুই উপকার করে ,সেমনটি ভাবা উচিৎ নয় । ডাবের পানির কিছু অপকারও আছে,


আসুন জেনে নিই ডাবের পানির কিছু ক্ষতিকর দিকঃ

ডাবের পানির উপকারিতা আমরা সকলেই জানি। সু-স্বাস্থ্যের জন্য ডাবের পানি যেমন উপকারী, তেমনই উজ্জ্বল ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী ডাবের পানি। প্রখোর রোদে শরিরে তৎক্ষণাৎ স্বস্তি দিতেও ডাবের পানির তুলনা হয়না।

ডাবের পানির শুধু উপকারিতাই নয়, ডাবের পানিতে রয়েছে বেশ কিছু অপকারিতাও

ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরিঃ

ক্যালরি বাড়ায় ডাবের পানি- যারা শরিরের ওজন কমাতে চান তাদের ডাবের পানি বেশি না খাওয়াই ভাল। কারণ, ডাবের পানি শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়িয়ে দেই। অন্যান্য পানীয় বা ফলের রসের তুলনায় ডাবের পানিতে চিনির পরিমান কম থাকে। তবুও ডাবের পানি খেলে নিমেষেই বেড়ে যেতে পারে ক্যালরি।

ডাবের পানি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় - ডাবের পানিতে চিনির পরিমান কম থাকলেও কার্বহাইড্রেট ও ক্যালরি অধিক মাত্রায় থাকে যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।

ডাবের পানি প্রতিদিন খাওয়া উচিৎ নয়ঃ

যাদের ডায়বেরটিস আছে তারা ডাবের পানি নিয়মিত খেলে ডায়বেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে ।তাই ডায়বেটিস থাকলে ডাবের পানি এড়িয়ে যাওয়াটায় ভালো।

রক্তাচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে ডাবের পানি - শুনতে আশ্চর্য্য লাগলেও ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে সোডিয়াম যা অতিমাত্রায় শরিরে গেলে রক্তাচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা বেশি থাকে তাদের ডাবের পানি প্রতিদিন খাওয়া মোটেও উচিত্ নয়।

তবে হঠাত্ রক্তচাপ বা রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে বা ডিহাইড্রেশন হয়ে শরীর খারাপ লাগলে অত্যন্ত উপকারী ডাবের পানি ।

উইকিপিডিয়া তথ্যসূত্র মতে

চিকিৎসায় ডাবের পানির ব্যবহারঃ

ডাবের পানিতে খনিজ লবণ থাাকায় মানুষের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্যপ্রাণ হিসেবে ধরা হয়। ডায়ারিয়া হলে মানবদেহে ইলেকট্রোলাইট কমে যায়, শরির দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন ডাবের পানি খাওয়ালে ইলেকট্রোলাইট নিয়ন্ত্রন হয় এবং শরীরের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরে আসে। ডাবের পানি অনেক ক্ষেত্রে মানুষের শরিরের রোগ প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কার্য্যকরি ভুমিকা রাখতে সহায়তা করে। ডাবের পানি কিডনির পাথর তৈরিতে বাধা দেই এবং গ্যাসটাটাইটিস বা অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া, আলসার, মূত্রনালীর সংক্রমণ ও ইউরোলিথিয়েসিস প্রতিরোধ করে। ডাবের পানিতে রয়েছে এন্টিসেপটিক , এই এন্টিসেপটিক গুণ থাকাতে মানুষের কোনো কাটা-ছেড়া জায়গায় ডাবের পানি ব্যবহার করলে উপশম পাওয়া যায়। মুখের ক্ষত যেমন—ব্রণ, মেছতা ও পক্সের মতো ক্ষত সারে এই ডাবের পানিতে। ডাবের পানি দিয়ে মুখমন্ডল সহ সারা শরির ধৌত করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ডাবের পানিতে রয়েছে ভিটামিন সি, রিবোফ্লেভিন ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ও কার্বোহাইড্রেট ।

মাটির গুনাগুনে ডাবের পানির স্বাদঃ

মাটির গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ডাবের পানির স্বাদ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন, ভারতের ডাবের পানি খেতে মিষ্টি, কিন্তু ব্রাজিলের ডাবের পানি হয় একটু পানসে। আবার আমাদের বাংলাদেশের ডাবের পানি বেশ মিষ্টি ও হালকা নোনতা এবং খুবই সুস্বাদু ।

স্যালাইন হিসেবে ব্যবহার হয় ডাবের পানিঃ

যেসব দেশে স্যালাইন পাওয়া যায় না, সেখানে ডাবের পানিকে অনেক সময় শিরার মাধ্যমে দেয়া স্যালাইন হিসাবে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।এবং এতে কার্য্যকর ভাবেই উপকার পাওয়া যায়।

চিরসূত্র -  Photo by Alexandr Podvalny from Pexels

Post a Comment

0 Comments

Ads 4