Auto Ads 1

পাঙ্গাশ মাছের উপকারিতা ও মাছের পুষ্টিগুন




বিবরণঃ
পাঙ্গাশ মাছের মাথাটি মুখের কোণের পিছনে তার দৈর্ঘ্যের সমান বিস্তৃত। তুন্ড প্রায় গোলাকার। চোখ সরু চর্বি গঠিত পাতাযুক্ত এবং আংশিকভাবে মুখের কোণের নিচের স্তরে অবস্থিত। বক্ষকাটা পৃষ্ঠকাটার তুলনায় অধিক শক্তিশালী যা সম্মুখে ধারালো কিন্তু পশ্চাতে ছোট ছোট দাঁতযুক্ত। পুচ্ছপাখনা দ্বিবিভক্ত। চর্বিযুক্ত পাখনা ছোট। পার্শ্বরেখা সম্পূর্ণ (Bhuiyan, 1964) দেহের পৃষ্ঠভাগ ঈষৎ হলুদাভ-সবুজ, পার্শ্বদিক থেকে রুপালি রক্তবর্ণের প্রতিফলন আসে, মাথার পার্শ্বভাগ সোনালি আভাযুক্ত, পাখনাগুলো হালকা লালচে-হলুদ বর্ণের হয়

- উইকিপিডিয়া

পাঙ্গাস মাছের উপকারিতা

  • প্রতি ১০০ গ্রামে ৮০ মিলিগ্রাম (০.০৮%) আছে কোলেস্টরল ( যা খুবই যৎসামান্য, স্বাস্থ্য ঝুঁকি নাই, বরং আপনাদের সুপেয় ও সুখাদ্য চিংড়িতে আছে এর তিন গুণ ।
  • প্রতি ১০০ গ্রামে ১৫ গ্রাম আছে আমিষ বা প্রোটিন রয়েছে পাঙ্গাসে (যা ইলিশ মাছে প্রতি ১০০ গ্রামে ২০ গ্রাম ), সেজন্য একে পুকুরের বা গরীবের ইলিশ বলা হতো ঐ অপবাদের আগ পর্যন্ত)
  • প্রতি ১০০ গ্রামে ৩.৫ গ্রাম আছে চর্বি বা ফ্যাট (যা মোটেও ক্ষতিকর নয়,  এবং অনেক উপকারি ওমেগা-৩ সম্মৃদ্ধ বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বর্ধক)
  • প্রতি ১০০ গ্রামে কোন শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট নাই (যা খুবই স্বাস্থ্যসম্মৎ, কিন্তু আপনাদের প্রিয় শেলফিশে আছে ৩-৪% ও ইলিশে ০.৭২%)
  • প্রতি ১০০ গ্রামে ৯২ কিলোক্যালরি শক্তি আছে পাঙ্গাসে
  • পাঙ্গাস মাছ ছোট বড় সব ধরনের পুকুরে সহজেই চাষ করা যায়, দামটাও অনেক কম হওয়াই, সবার সামর্থের মধ্যেই থাকে এর মুল্য। এবং সবজায়গায় পাওয়া যায় এই পুষ্টিগুন ভরা এই পাঙ্গাস মাছটি।
  • এছাড়াও ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আইরন, ফসফরাস,  জিঙ্ক ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যথেষ্ট ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে

পাঙ্গাস মাছ খেতে নিষেধ করার কারন কি ?

এই মাছে এতো পুষ্টিগুন থাকা সত্বেও না জানার কারনে আমরা হ্যালাফেলা করি 

আসলে পাঙ্গাস মাছ খেলে তেমন কোন ক্ষতি হয় এমন গবেষণায় পাওয়া যায়নি কিছু সাধারণ মানুষ এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় এটি হয়তোবা তাদের মনগড়া একটি মতবাদ। আপনি যদি পাঙ্গাস মাছ প্রেমী  হয়ে থাকেন বা আপনার পছন্দের মাছের তালিকা পাঙ্গাস মাছ থেকে তাকে আর যদি আপনি এই মাছটি সম্পর্কে না জেনে থাকেন৷ তাহলে আপনার ধারনাটি একেবারেই ভুল, কারণ পাঙ্গাস মাছ খেলে কোন ধরনের ক্ষতি হয়  গবেষনায় এটা জানা যায়নি এমনকি এটা যে ক্ষতিকর এমন কোন প্রমানও গবেষক রা পাইনি।

প্রথম আলো তথ্যসুত্র থেকে পাঙ্গাস মাছের গুনাগুন সম্পর্কে

একটি বিশেষ পুষ্টিগুণে পাঙাশ অন্য মাছের চেয়ে এগিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষকেরা দেখেছেন, পাঙাশ মাছে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড (বা ইনডিসপেন্সেবল অ্যামাইনো অ্যাসিড) অনেক বেশি। এ কারণে পাঙাশে থাকা আমিষের মান উন্নত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা বলছেন, শস্যদানা, ফল বা সবজির চেয়ে উচ্চমানের আমিষ বেশি আছে মাছে। তাঁরা বলছেন, পাঙাশের মতো রুই ও তেলাপিয়াতেও উচ্চমানের আমিষ আছে।
পুষ্টিবিদেরা জানিয়েছেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড আমিষ তৈরির মৌলিক উপাদান। অ্যামাইনো অ্যাসিড কোষের দেয়াল তৈরি, দেহের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। জন্ম থেকে ৬ মাস, ৬ মাস থেকে ৩ বছর এবং ৩ থেকে ১০ বছর—এই বয়সী শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অ্যামাইনো অ্যাসিডের ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা আছে। পুষ্টিনীতি নির্ধারণ ও পুষ্টি পরিকল্পনা প্রণয়নে এই গবেষণা বড় ভূমিকা রাখবে বলে পুষ্টিবিদেরা মন্তব্য করেছেন। গবেষকেরা চাল, গম, মসুর, রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশের আমিষের পরিমাণ নির্ণয় করেছেন। গবেষণা ফলাফল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ হিসেবে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা এলসিভিয়ার, তাদের ফুড কেমিস্ট্রি সাময়িকীতে। প্রধান গবেষক ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাজমা শাহিন প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত এই ছয়টি খাদ্যে আমিষের পরিমাণ এবং কোন অ্যামাইনো অ্যাসিড কতটুকু আছে, তা চিহ্নিত করা ছিল এই গবেষণার লক্ষ্য। তাঁরা দাবি করেছেন, ডায়াস ( অ্যামাইনোর ডাইজেস্টেবল ইনডিসপেন্সেবল  অ্যাসিড স্কোর) পদ্ধতি ব্যবহার করে পুষ্টিগুণ নির্ণয়ে এ ধরনের গবেষণা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এটাই প্রথম।
নাজমা শাহিন বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহায়তায় ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা ন্যাশনাল ফুড কম্পোজিশন টেবিল তৈরি করেছেন। দেশে পাওয়া যায় এমন ৩৮১টি খাদ্যের পুষ্টিগুণের বর্ণনা তাতে আছে। সেই পুষ্টিতথ্যকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য এই ছয়টি খাদ্যের অ্যামাইনো অ্যাসিড ও  আমিষের  উপাত্ত তাঁরা পৃথকভাবে বের করেছেন।
গবেষকেরা বলছেন, দেশের মানুষের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় শস্য দানার মধ্যে চাল, গম, মসুর এবং মাছের মধ্যে রুই, তেলাপিয়া, পাঙাশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। দেশের ৩০টি এগ্রো-ইকোলজিক্যাল জোনের ১৭টি থেকে চালের ১৭টি, গমের ২৫টি, মসুরের ২৪টি নমুনা এবং দেশের প্রধান ১১টি মাছের বাজার থেকে রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশের ১১টি করে নমুনা সংগ্রহ করেন। এসব নমুনা বিশ্লেষণ করা হয় ভারতের হায়দরাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশনে। গবেষকেরা প্রতিটি নমুনার আর্দ্রতা, শর্করা, আঁশ, লিপিড ও আমিষের পরিমাণ বের করেন। আমিষে ২০ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, এর মধ্যে কিছু অত্যাবশ্যকীয়। অধ্যাপক নাজমা শাহিন বলেন, কোন অ্যামাইনো অ্যাসিড কতটুকু আছে, তার ওপর নির্ভর করে আমিষের গুণমান। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মসুরে আমিষ বেশি, তবে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড কম। অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে পাঙাশের নমুনায়। এরপর তেলাপিয়া ও রুই মাছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সুপারিশে বলা হয়েছে, এক গ্রাম আমিষে ২৭৭ মিলিগ্রাম অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকা উচিত। পাঙাশের প্রতি গ্রামে আছে ৪৩০ মিলিগ্রাম।
জানার পর গবেষণার তথ্যকে নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন পুষ্টিবিদ অধ্যাপক এম কিউ কে তালুকদার। কিছুটা সতর্ক অবস্থানে থেকে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাঙাশ অ্যামাইনো অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করে, এটা ভালো কথা। এই তথ্য যেমন জানা দরকার, তেমনি পাঙাশে চর্বি বেশি, সেই সতর্কতাও থাকা দরকার।’ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের শুরুতে বলা হয়েছে, সমৃদ্ধ জৈব ও কৃষিবৈচিত্র্য থাকার পরও অপুষ্টি দেশের জন্য বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে আছে। প্রবন্ধের শেষ দিকে বলা হয়েছে, ডায়াস পদ্ধতি ব্যবহার করে তিনটি মাছের আমিষের মান নিয়ে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা কিছুদিন আগেও সবার  অজানা ছিল।

BBC তথ্য সুত্রে পাঙ্গাশ মাছ সম্পর্কে  জানা যায় ।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছরে মাছের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪২ লক্ষ টন এবং জনপ্রিয় কয়েকটি মাছের ব্যাপক উৎপাদন সম্ভব হওয়ার কারণে বাংলাদেশে মাছের চাহিদা পূরণের পর প্রতিবছর কিছুটা উদ্বৃত্ত থাকে।

এখন বাজারে সবচেয়ে সহজলভ্য এই তিনটি মাছ হলো- পাঙ্গাশ , কই, আর তেলাপিয়া।

গবেষকরা বলছেন অন্তত পাঙ্গাশ , কই, আর তেলাপিয়া এই তিনটি মাছই দেশের মাছ উৎপাদনের চিত্র পাল্টে দিয়েছে। তবে এর মধ্যে দুটি মাছ দেশীয় হলেও এর বিস্তার সম্ভব হয়েছে বিদেশি প্রজাতির কারণে।

ব্যবসায়ী আব্দুল কাদির তরফদার ও ময়মনসিংহের মৎস্য উৎপাদক বলছেন তেলাপিয়া মাছটি বাংলাদেশের নিজস্ব মাছ নয়, তবে পাঙ্গাশ ও কই দেশি মাছ যা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিলো।

পাঙ্গাশ ও কই মাছ বাংলাদেশে আসায় সাধারণ মানুষের জন্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। আর দেশি জাতের মাছে গ্রোথ খুবই কম হলেও। সেই তুলনায় পাঙ্গাশ ও কই খুবই দ্রুত বৃদ্ধিশীল। আর এ কারণেই মাছ চাষিদের কাছে চাষের ক্ষেত্রে তেলাপিয়ার বাইরে পাঙ্গাশ ও কই এ দুটি মাছ বেশি পছন্দনীয় হয়ে উঠেছে ।

“ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে ” এর তথ্য অনুযায়ী, দেশি জাতের কই এখন সঙ্কটাপন্ন প্রজাতির মাছ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রায় ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন স্বাদু পানির মাছ উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে কই মাছ থেকে আসে প্রায় ৫৩ হাজার ৫৫৩ মেট্রিক টন।

যদিও এর মধ্যে দেশি জাতের কই মাছের পরিমাণ কত তার হিসেব পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য।

খামারি ও মৎস্য গবেষকদের মতে ৯০ এর দশক থেকেই দেশি জাতের বিভিন্ন মাছের মধ্যে কই মাছও ব্যাপকভাবে কমতে থাকে।


জনকন্ঠ তথ্যসূত্র মতে পাঙ্গাশ মাছ সম্পর্কে জানা যায়


বাকৃবি সংবাদদাতা - জনকণ্ঠ কে বলেন

পাঙ্গাস বাংলাদেশের চাষকৃত মাছের মধ্যে অন্যতম। এই মাছ দ্রুত বর্ধনশীল এবং চাষ পদ্ধতি তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়ায় বালাদেশের মাছ চাষীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে। চাষের খরচ কম হওয়ায় ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় এই মাছের চাষ দেশে দ্রুত সময়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎপাদনেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে পাঙ্গাস মাছের সাথে পাল্লা দিয়ে অন্যান্য মাছে চাষ বেড়ে যাওয়া এই মাছে বাজারমূল্য কমেছে ব্যাপকভাবে। এছাড়াও মাছে কিছুটা গন্ধ থাকায় ক্রেতারাও আগ্রহ হারাচ্ছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং এই মাছ প্রক্রিয়াজাত করনের উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা না হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখি হচ্ছে মাছ চাষীরা। দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পাঙ্গাস মাছ থেকে পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন করা সময়ের দাবি। এই চিন্তা মাথার রেখে পাঙ্গাস থেকে প্রক্রিয়াজাত পণ্য পাঙ্গাস পাউডার এবং পাঙ্গাসের আচার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে গবেষণা করে তারা এই সফলতা পেয়েছেন। এই গবেষক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের মৎস্য প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. নওশাদ আলম।

প্রধান গবেষক বলেন, পাঙ্গাস প্রক্রিয়াজন পণ্য হিসেবে পাঙ্গাসের মচমচে আচার এবং পাঙ্গাস পাউডার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। আচার সরাসরি খাওয়া যাবে। তবে পাউডার থেকে ভর্তা, স্যুপ, নুডুলস, তরকারি, খিচুরির মিক্স তৈরি করা যাবে। বিস্কুট, চিপস অন্যান্য বেকারী পণ্য এমনকি এই পাউডার দুধ বা নবজাতকের খাবারের সাথে মিশিয়ে ওই খাদ্যের পুষ্টিগুণ বাড়ানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি তৈরি আচার ও পাউডারে মাছের কোন দুগন্ধ না থাকায় সকল শ্রেণীর মানুষ এসব পণ্য থেকে পাঙ্গাসের পুষ্টিগুণ পাবেন।

উৎপাদন পদ্ধতি সমন্ধে প্রশ্ন করলে গবেষক জানান, সাধারণ রান্নার যন্ত্রপাতি ও তৈজসপত্র দিয়েই স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রেখে, প্রাকৃতিক উপায়ে মাছ থেকে আচার ও পাউডার তৈরি করা হয়েছে। এখানে কোন ধরনের কৃত্রিম ক্যামিকেল ব্যবহার না করা কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে না। এগুলো কক্ষ তাপমাত্রায় এক বছরের অধিক সময় ধরে সংরক্ষণ করা যাবে। তিনি বলেন, মাছে চর্বি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পাঙ্গাসে অন্যান্য মাছের তুলনায় এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি। কিন্তু সমস্যা হলো তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাছের আমিষ ও চর্বির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। পাঙ্গাসের আচার ও পাউডার তৈরির সময় প্রথমে এক ধরনের ভেষজ নির্যাস ব্যবহার করা হয় ফলে পুষ্টিমানগুলো অক্ষুণ্ণ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণাগারে পণ্যগুলো পুষ্টিমান পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে আচারে শতকরা ৩৭ ভাগ আমিষ, ২৮ ভাগ স্নেহ, ১৬ ভাগ মিনারেল ও ১১ ভাগ ফাইবার এবং পাউডারে ৪৫ ভাগ আমিষ, ৩২ ভাগ চর্বি, ১ ভাগ মিনারেল ও ৯ ভাগ ফাইবার গেছে। পুষ্টিমান অক্ষুণ্ণ থাকায় এগুলো নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।

উৎপাদন খরচ এবং দাম নিয়ে গবেষক নওশাদ আলম বলেন, পাঙ্গাসের আচার ও পাউডার তৈরির খরচ খুবই কম। এক কেজি পাংগাস থেকে ১০০-১৫০ টাকা খরচ করে ৩০০-৩৫০ গ্রাম আচার তৈরি করা যায়। সমপরিমান পাঙ্গাস থেকে ২০০-২৫০ গ্রাম পাউডার তৈরি করা সম্ভব। এসব পণ্যের বাজারমূল্য সকলের নাগালের মধ্যে থাকবে এবং খুব শীঘ্রই বাজারে পাওয়া যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি

ড. নওশাদ বলেন, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। ইতোমধ্যে পণ্য দুটি পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পেটেন্ট হলে পণ্য দুটির উপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে চাষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এতে করে চাষীরা নিজেরাই তাদের চাষকৃত মাছ থেকে পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

Post a Comment

0 Comments

Ads 4