Auto Ads 1

দোয়া কবুল হওয়ার গুরুত্বপুর্ণ আমল ও সঠিক নিয়ম



দরুদ শরীফ গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এ আমলের মাধ্যমে একসঙ্গে আল্লাহ ও তার রাসূলের সন্তুষ্টি পাওয়া যায়। এটি মুমিনের আত্মার খোরাক এবং প্রিয় তাসবিহ।পবিত্র কোরআনেও এর ব্যাপক তাগিদ রয়েছে। দরুদ শরীফ পাঠ আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ।

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। কোরআনে এসেছে ‘অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ প্রেরণ করেন। হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁর প্রতি যথাযথ দরুদ ও সালাম পেশ করো’ (সূরা : আহজাব, আয়াত : ৫৬)।

আল্লাহ তায়াল পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন,

إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا


অর্থ: ‘নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তারা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনরা! তোমরাও তাঁহার ওপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর।’ (সূরা: আহযাব, আয়াত: ৫৬)।

এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যায় আল্লাহর কাছে দরুদ শরিফের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য কী পরিমাণ এবং এটা যে কত প্রিয় আমল। এই আমল নবীজির ও আল্লাহতায়ালার মাহবুব ও প্রিয়পাত্র হওয়ার বড় সহায়ক।

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি মুহব্বত নিয়ে দরুদ পাঠ করা উত্তম ইবাদত। রাসূল (সা.) নিজেও দরুদ পাঠ করার জন্য তাঁর উম্মতদের বলেছেন, রাসূল (সা.) দরুদ পাঠের ফজিলত ও মাহাত্ন্য উম্মতদের জানিয়ে দিয়েছেন।

মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ (সহিহ মুসলিম)।

দরুদ শরিফ পাঠ করলে সহজে দোয়া কবুল হয়ে যায়। হজরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) বলেন, নিশ্চয় বান্দার দোয়া-মোনাজাত আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলানো থাকে, তার কোনো কিছু আল্লাহপাকের নিকট পৌঁছে না যতক্ষণ না বান্দা তার নবীর (সা.) প্রতি দরুদ পাঠ করবে। (তিরমিজী শরিফ)।

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের নাম শোনার পর দরুদ শরীফ পাঠ করা ওয়াজিব। রাসূল (সা.) নাম মুবারক উচ্চারণ অথবা শোনার পর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এই দরুদ বলা ওয়াজিব। যদি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম পড়া না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে গুনাহগার হতে হবে। কোনো আলোচনায় বা মাহফিলে যদি নবীজি (সা.) এর নাম নেয়া হয় তবে প্রথমবার সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলা ওয়াজিব। এরপর যতবার নবীজি (সা.) এর নাম নেয়া হবে ততবার সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলা মুস্তাহাব। তবে, একবারও যদি দরুদ-সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম না পড়া হয় সেক্ষেত্রে গুনাহগার হতে হবে।

তাই কোনো আলোচনায় রাসূল (সা.) এর নাম যতবার নেয়া হবে ততবার সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম পড়ে মুস্তাহাব সাওয়াব পাওয়া যায়। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যার কাছে আমার নাম উল্লেখ করা হয় সে যেন তৎক্ষণাৎ আমার ওপর দরুদ শরিফ পড়ে।’

দরুদ শরীফ পাঠ করলে সহজে দোয়া কবুল হয়ে যায়। হজরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) বলেন, নিশ্চয় বান্দার দোয়া-মোনাজাত আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলানো থাকে, তার কোনো কিছু আল্লাহপাকের নিকট পৌঁছে না যতক্ষণ না বান্দা তার নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করবে। (তিরমিজী শরিফ)।

সালাতের মধ্যে দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। দরুদে ইব্রাহিম বেশ ফজিলতপূর্ণ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে এই দরুদ পড়া হয়। সালাত ছাড়াও অন্যান্য যেকোনো সময় এই দরুদ শরীফ পাঠে রয়েছে মুস্তাহাব সাওয়াব।

দরুদে ইব্রাহিমের আরবি, অর্থ ও উচ্চারণ:

আরবি:

 اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌاللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد


উচ্চারন: আল্লাহুম্মা সাল্লেআ’লা মোহাম্মাদাও ও আ’লা আলি মোহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মোহাম্মাদেও ও আ’লা আলি মোহাম্মাদ, কামা বারকতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম ( আঃ )ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম  ( আঃ ) ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।

আমরা যখন মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করবো এবং আমাদের গুনাহ মাফের জন্য দোয়া চাইবো তখন দরুদ শরীফ পাঠ করবো। কারণ, মহান আল্লাহর দরবারে মুক্তি ও মাফ চেয়ে মুনাজাত ধরলে, দোয়া করলে তা দরুদ শরীফ পাঠের উসিলায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের প্রতি রহমত ও সালাম পেশের দরুণ সেই দোয়া কবুল হয়ে যায়।

দরুদ শরিফ পড়ব কখন? কীভাবে?


জীবনে একবার দরুদ-সালাম পাঠ করা ফরজে আইন।

  • দরুদ-সালাম অত্যন্ত আন্তরিকতা ও ভালোবাসার সঙ্গে খুব ধীরস্থিরভাবে চুপি চুপি পড়া উচিত।
  • দরুদ পড়ার সময় অধিক নড়াচড়া, মাথা দুলানো, চিৎকার বা উঁচু আওয়াজ করা যাবে না।
  • একই বৈঠকে একাধিকবার নবী (সা.)-এর নাম উচ্চারিত হলে প্রথমবার সবার জন্য দরুদ পাঠ করা আবশ্যক (ওয়াজিব)।
  •  নবীজি (সা.)-এর নাম এক বৈঠকে বারবার লিখলে প্রথমবার দরুদ লিখা আবশ্যক (ওয়াজিব)।
  • অজু ছাড়া যে কোনো অবস্থায় দরুদ পড়া যায়। তবে অজু অবস্থায় এবং আদবের সঙ্গে দরুদ পড়া উত্তম।
জুমা বা ঈদের খুতবায় নবী (সা.)-এর নাম এলে মনে মনে দরুদ পড়বে, মুখে উচ্চারণ করবে না। * নবীজির রওজা শরিফ জিয়ারত ও তার নাম বলা বা শোনার সময়। মসজিদে প্রবেশের সময় ও বের হওয়ার সময়। কোনো বৈঠক থেকে ওঠার সময়। দোয়া বা মোনাজাতের আগে ও পরে। আজানের পর দোয়ার আগে। অজুর শেষে, চিঠিপত্র বা অন্য কিছু লিখার আগে। কোরআন তেলাওয়াত বা অন্য কোনো বইপুস্তক পাঠের আগে। দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ ও সব রকমের বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব সময় বেশি করে দরুদ পড়ুন।

বিভিন্ন হাদিসে দুরূদ পাঠের লাভ বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে বুখারী এবং মুসলিম শরীফের হাদিসে বর্ণিত আছে যে, প্রতিবার দরুদ শরীফ পড়ার বদৌলতে আল্লাহ, পাঠকারীর উপর ১০ বার দয়া করেন। জুম্মার দিনের লাভ প্রসঙ্গে হযরত মুহাম্মাদ (সঃ.) বলেছেন,

তোমরা এদিনে আমার প্রতি বেশি পরিমাণে দুরূদ পাঠ করো। এ দুরূদে ফেরেস্তাগণ অংশগ্রহণ করে এবং এ দুরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণিত হযরত মুহাম্মাদ (সঃ.)  বলেছেন,

কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তিই আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে, যে আমার উপর বেশি বেশি দুরূদ/সালাম পাঠ করে।

দুরূদের প্রকারভেদ

দুরূদ-ই-ইব্রাহীম


দুরূদ পাঠ নামাযের অংশ: নামাযের মধ্যে শেষবার বসা অবস্থায় দুরূদ পাঠ করতে হয়, যা দুরূদে ইব্রাহীম নামে পরিচিত। দুরূদ শরিফ নামাজের শেষে পরতে হয়।

দুরুদ শরীফ

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَیِّدَنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ سَیِّدَنَا مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى سَیِّدَنَا اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ سَیِّدَنَا اِبْرَ اهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى سَیِّدَنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ سَیِّدَنَا مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى سَیِّدَنَا اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ سَیِّدَنَا اِبْرَا هِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌمَّجِيْدٌ

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ।

"অনুবাদঃ হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাললাম) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর ঐরূপ রহমত/প্রশংসা অবতীর্ণ কর যেইরূপ রহমত/প্রশংসা হযরত ইব্রাহিম এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর অবতীর্ণ করিয়াছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসা ভাজন এবং মহামহিম। হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাললাম) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর সেইরূপ অনুগ্রহ কর যে রূপ অনুগ্রহ ইব্রাহীম এবং তাঁহার বংশরগণের উপর করিয়াছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসা ভাজন এবং মহামহিম।"

আরোও কিছু দরূদ


হযরত যায়েদ ইব্‌ন খারিজা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ কর এবং বেশি বেশি দোয়া কর আর তোমরা বলঃ

"আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা ‘আলি মুহাম্মাদ"

হে আল্লাহ্! আপনি মুহাম্মাদ ও তার পরিবারবর্গের প্রতি রহমাত বর্ষণ করুন

সুনানে নাসায়ীঃ ১২৯২ হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌ ! আপনার উপর সালাম পাঠানোর নিয়ম তো আমরা জানি, কিন্তু আপনার উপর দরূদ কিভাবে পাঠ করব? তিনি বললেন, তোমরা বলবেঃ

"আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন আব্দিকা ওয়া রাসূলিকা কামা সল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীম, ওয়া বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা ‘আলা ইবরাহীমা"

"হে আল্লাহ্! আপনার বান্দা ও রসূল মুহাম্মদের উপর আপনি রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপ রহমত নাযিল করেছন ইবরাহীমের প্রতি। আপনি মুহাম্মাদ ও তার পরিবারবর্গের প্রতি বরকত নাযিল করুন, যেরূপ নাযিল করেছেন ইবরাহিমের উপর।

সুনানে নাসায়ীঃ ১২৯৩ হাদিসের মানঃ সহীহ, (বুখারী ৪৭৯৮, ৬৩৫৮; আহমাদ ১১০৪১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ)

আবূ মাসউদ উকবা বিন আমর আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ বল “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদিনিন নাবিয়্যিল উম্মি ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ”

হাদিসের মানঃ সহীহ , ( আলবানী, শুয়াইব আরনাঊত), আবু দাঊদঃ ৯৮১

আমর ইবনু সুলায়ম যুরাকী (র) থেকে বর্ণিতঃ আবূ হুমায়দ সাঈদী (রাঃ) তাঁকে বলেছেন, তাঁরা (রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমরা আপনার উপর দরূদ কিভাবে পাঠ করব ? তিনি বললেন, তোমরা এইরূপ বলবে-, আবূ হুমায়দ সাঈদী (রাঃ) তাঁকে বলেছেন, তাঁরা ( রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ) বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্! আমরা আপনার উপর দরূদ কিভাবে পাঠ করব ? তিনি বললেন, তোমরা এইরূপ বলবে

“আল্ল-হুম্মা সল্লি ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা- আয্ওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা-সল্লাইতা ‘আলা-আ-লি ইবরাহীমা ওয়াবা-রিক ‘আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা- আয্ওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা-বা-রাকতা ‘আলা-আ-লি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।”

অর্থাৎ হে আল্লাহ ! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর বিবিগন এবং তাঁর বংশধরগনের প্রতি রহমাত বর্ষন কর, যেভাবে তুমি রহমাত বর্ষন করেছ ইবরাহীম (‘আঃ)-এর পরিজনের প্রতি- তুমি বারাকাত নাযিল কর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর বিবিগনের প্রতি যেভাবে তুমি বারাকাত নাযিল করেছ ইবরাহীম (‘আ)-এর পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত

অপর বর্ননাঃ (আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদ, ওয়া আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা সল্লায়তা আলা ইবরাহীম। ওয়া বারিক আলা মুহাম্মাদ, ওয়া আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা বারাকতা আলা আলি ইবরাহীম ফীল আলামীনা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।)

"হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীগণ ও তাঁর বংশধরদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) - এর উপর এবং আপনি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীগণ ও বংশধরদের প্রতি বরকত নাযিল করুন, যেমন আপনি এ বিশ্বজগতে বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি অধিক প্রশংসিত মহিমান্বিত"

মুয়াত্তা ইমাম মালিক - ৩৮৩, হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস (বুখারী ৩৩৬৯, ৬৩৬০; মুসলিম ৪০৭, নাসায়ী ১২৯৪, আবূ দাঊদ ৯৭৯, আহমাদ ২৩০৮৯, ২৩৬০০ মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৯৭, ইবনু মাজাহ্ ৯০৫, তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ)

Post a Comment

0 Comments

Ads 4