Auto Ads 1

সুনামগঞ্জ জেলার সকল তথ্য

 সুনামগঞ্জ জেলার সকল তথ্য



ইতিহাস
প্রাচীনকাল থেকেই এই অঞ্চলে বহু ভাষাভাষী জাতি, বর্ণ ও ধর্ম নিয়ে পরিচিত, সার্বভৌম বাংলাদেশের বর্তমান সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলা । পৌরাণিক যুগে প্রাচীন কামরূপ বা প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল এই সুনামগঞ্জ জেলা ।

সুনামগঞ্জে জেলার লাউড় পর্বতে কামরূপ রাজ্যের উপরাজধানী স্থাপন করেছিলেন রাজা ভগদত্ত । রাজা ভগদত্তের শাসনামলের সময় সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলাসহ বাংলাদেশের ঢাকা এবং ময়মনসিংহ জেলার মধ্যবর্তী অঞ্চল লাউড় রাজ্যের অধীন শাসিত হতো । লাউড়ের গড়ের ভগ্নাবশেষ আজও অত্র এই অঞ্চলে বিদ্যমান রয়েছে, যা রাজা ভগদত্তের বাড়ি বলে জনশ্রুতিতে ব্যক্ত ।লাউড় রাজ্যের চতুসীমা ছিল পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ, পূর্বে জৈন্তিয়া, উত্তরে কামরূপ সীমান্ত ও দক্ষিণে বর্তমানে ব্রাম্মণবাড়িয়া পর্যন্ত। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই লাউড় রাজ্যের প্রাচীন নিদর্শন হাওলি প্রকৃতপক্ষে ছিল রাজবাড়ী। এ রাজ্যে স্থপতি রাজা ভগদত্তের ১৯ জন বংশধর সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে রাজ্য স্থাপন করে।

৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে প্রাচীন লাউড় রাজ্য কামরূপ রাজ্য থেকে আলাদা হয়। দশম শতক থেকে স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসন শুরু হয় । মহাভারতের যুদ্ধে অর্জুনের পক্ষে লড়তে গিয়ে নিহত হন রাজা ভগদত্ত। দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা বিজয় মাণিক্য লাউড় রাজ্য শাসন করেন। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষে তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরেও রাজ্য স্থাপন করেন। এ সময় বঙ্গের ব্রাহ্মণরা বল্লাল সেনের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে রাজা বিজয় মাণিক্যের রাজ্যে এসে আশ্রয় নেন। বিজয় মাণিক্যের পর কারা লাউড় শাসন করে তা এখনো অজানা। তেরশত শতাব্দীর পর চৌদ্দ'শ সালের প্রথমার্ধে কাত্যায়ন গোত্রিয় দিব্য সিংহ নামে নৃপতি লাউড়ে রাজত্ব করেন। তখন লাউড়ের রাজধানী নবগ্রামে স্থানান্তর হ্য়। এ সময় লাউড় এবং জগন্নাথপুর রাজ্য অনেক জ্ঞানী পুরুষের আবির্ভাবে প্রফুল্লিত হয়েছিল। কুবেরাচার্য ছিলেন একজন সুপণ্ডিত ব্যক্তি তিনি ছিলেন রাজ্যের রাজমন্ত্রী । যার জ্ঞানের চর্চা ছিলো ভারতবর্ষের অন্যতম বিদ্যাপীঠ নবদ্বীপ পর্যন্ত পরিবেপক ।

এছাড়াও এই  রাজ্যের নবগ্রামে মাধবেন্দ্রপুরী নামে আরেক জন জ্ঞানী সাধু পুরিষের বসবাস ছিলেন। এই মাদেবন্দ্রপুরির কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করে লাউড়ের যুবরাজ রমানাথ বা রামা ও মন্ত্রীতনয় অদ্বৈত্যেচার্য সারা ভারতবর্ষে স্মরণীয় হয়ে আছেন। রমানাথ সিংহ উপযুক্ত হলে রাজা দিব্য সিংহ রাজ্যভার তার পুত্র রমানাথকে দিয়ে, শান্তি সাধনায় তিনি তার মন্ত্রীতনয় অদ্বৈত্যের আখড়া শান্তিপুরে চলে যান। সেখানে থেকে অদ্বৈত্যের উপদেশে বৈষ্ণবীধর্ম গ্রহণ করেন এবং সাহিত্য চর্চায় মনোযুগী হয়ে বাংলা ভাষায় বিঞ্চুভক্তি শাস্ত্র গ্রন্থ সহ আরও কয়েকটি গ্রন্থের অনুবাদ করেন। অতপর অদ্বৈত্য বাল্যলিলা গ্রন্থ রচনা করে কৃষ্ণদাস নামে আখ্যাত হন। রাজা দিব্য সিংহের পুত্র রামানাথ সিংহের তিন পুত্র ছিল। এই তিন পুত্রের মধ্যে একজন কাশীবাসি হন এবং এক পুত্রকে লাউড়ের রাজ সিংহাসনে বসিয়ে; রামানাথ সিংহ তার অন্য পুত্র কেশবের সাথে জগন্নাথপুরে আসেন।

প্রাচীন ইতিহাসে লাউড় রাজ্য সব সময় স্বাধীন ছিল বলে জানা যায়। সৈয়দ মূর্তজা আলী তার নিজের রচিত 'হযরত শাহ্জালাল ও সিলেটের ইতিহাস' তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে লাউড়ের রাজা গোবিন্দ সিংহ তার জ্ঞাতিভাই ও জগন্নাথপুরের রাজা বিজয় সিংহের সঙ্গে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিরোধে লিপ্ত হয়েছিলেন। এর জের ধরেই বিজয় সিংহ গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হন। প্রায় পনেরো'শ শতকে হবিগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চলে বানিয়াচং রাজ্য স্থাপিত হয়। এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কেশব একজন বণিক ছিলেন। তিনি বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং কালী নামের দেবির পূজা নির্বাহের লক্ষ্যে দৈব বাণীতে শুকনো ভূমির সন্ধান প্রাপ্ত হয়ে সেখানে অবতরণ করেন এবং দেবি পূজা সমাধান করে দৈব বাণী মতে সেখানেই বসতি স্থাপন করেন। এক সময় শ্রীহট্টের উত্তর সীমা হতে ভেড়ামোহনা নদী পর্যন্ত বানিয়াচং রাজ্য বিস্তৃত ছিল।

প্রায় শতের'শ শতকের শেষের দিকে গোবিন্দ খাঁ কর্তৃক শ্রীহট্ট ভূমির প্রাচীন রাজ্য "লাউড়" ইহার অধিকার ভূক্ত হয়। যাহা মূলত তৎকালে জগন্নাথপুর রাজ্যের রাজ্ বংশের অধিকারে আসার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ জগন্নাথপুর রাজ্যের রাজ্ বংশ তাদের অধিকার হারায় এবং ইহার জের ধরে দুই রাজ্যের মধ্যে হতা-হতীর কারণ জগন্নাথপুর রাজ্যের রাজ্ বংশ ধংশ হয়। ঐ সময়ে বানিয়াচং রাজা গোবিন্দ খাঁ দিল্লীর সম্রাটদের দ্বারা মুসলমান হয়ে, হাবিব খাঁ নাম ধারণ করে দেশে ফিরেন। শতরে'শ শতকের কিছু পরে লাউড় রাজ্য স্বাধীনতা হারায় এবং মোঘোল রা এর নিয়ন্ত্রক হন । যার ভিত্তিতে সুনাম উদ্দিন নামে এক জনৈক মোঘল সিপাহী এ অঞ্চলে একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। পরে উপজেলা, মহকুমা ও জেলা শহরে রুপান্তরিত হয়। বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার নাম ছিল বনগাঁও।

১৮৭৭ সালে সুনামগঞ্জ মহকুমা প্রতিষ্ঠত হয়। ১৯৮৪ সালে জেলায় রুপান্তরিত হয়। জেলায় মোট ৮১টি ইউনিয়ন এবং ২৭৭৩টি গ্রাম আছে। সুনামগঞ্জ জেলার প্রথম হাইস্কুল সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়,  সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৭ সালে উপজেলায়, দ্বিতীয় হাইস্কুল দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৫ সালে দিরাই উপজেলায়, তৃতীয় হাইস্কুল ব্রজন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৯ সালে জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁওয়ে। ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ।


নামকরণঃ
‘সুনামদি’ নামক জনৈক মোগল সিপাহীর নামানুসারে সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ‘সুনামদি’ (সুনাম উদ্দিনের আঞ্চলিক রূপ) নামক উক্ত মোগল সৈন্যের কোন এক যুদ্ধে বীরোচিত কৃতিত্বের জন্য সম্রাট কর্তৃক সুনামদিকে এখানে কিছু ভূমি পুরস্কার হিসাবে দান করা হয়। তার দানস্বরূপ প্রাপ্ত ভূমিতে তারই নামে সুনামগঞ্জ বাজারটি স্থাপিত হয়েছিল। এভাবে সুনামগঞ্জ নামের ও স্থানের উৎপত্তি হয়েছিল বলে মনে করা হয়ে থাকে।

ভৌগোলিক সীমানাঃ
উত্তরে রয়েছে খাসিয়া এবং জৈন্তিয়া পাহাড় , পূর্বে সিলেট জেলা, দক্ষিণে রয়েছে হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে নেত্রকোনা জেলা এবং কিশোরগঞ্জ জেলা অবস্থিত।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহঃ
সুনামগঞ্জ জেলাতে রয়েছে  ১২টি থানা, ১১টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা, ৮৮টি ইউনিয়ন, ১৫৩৫টি মৌজা, ২৮৮৭টি গ্রাম এবং ৫টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।

সংসদীয় আসনঃ
  • ২২৪ সুনামগঞ্জ - ১ জামালগঞ্জ উপজেলা, ধর্মপাশা উপজেলা এবং তাহিরপুর উপজেলা ।
  • ২২৫ সুনামগঞ্জ - ২ শাল্লা উপজেলা এবং দিরাই উপজেলা  
  • ২২৬ সুনামগঞ্জ -৩ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা  এবং জগন্নাথপুর উপজেলা ।
  • ২২৭ সুনামগঞ্জ - ৪ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ।
  • ২২৮ সুনামগঞ্জ - ৫  দোয়ারা বাজার উপজেলা ও  ছাতক উপজেলা   ।
উপজেলা সমূহঃ
সুনামগঞ্জ জেলায় মোট ১১টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:

শিক্ষাব্যবস্থা
  • সরকারি এস.সি. বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
  • সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
  • এইচ.এম.পি উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
  • নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
  • তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
  • বিশ্বম্ভপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
  • শক্তিয়ারখলা উচ্চ বিদ্যালয়
  • ছাতক সরকারি কলেজ
  • দিরাই সরকারি কলেজ
  • ধর্মপাশা সরকারি কলেজ
  • দোয়ারাবাজার সরকারি কলেজ
  • জগন্নাথপুর সরকারি কলেজ
  • শাল্লা সরকারি কলেজ
  • বাদাঘাট সরকারি কলেজ
  • দোয়ারাবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
  • দিগেন্দ্র বর্মন সরকারি কলেজ
  • জামালগঞ্জ সরকারি কলেজ

জানুন - ফেসবুক আইডি সিকিউরিটি রাখার সঠিক নিয়ম


সুনামগঞ্জ জেলায় শিক্ষার আলো উন্নত  করার জন্য জেলায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।এই সুনামগঞ্জ জেলার সাক্ষরতার হার ৪৯.৭৫%। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহগুলো নিম্নরূপঃ
  • সুনামগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (প্রস্তাবিত)
  • সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ,সুনামগঞ্জ
  • সুনামগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট,সুনামগঞ্জ
  • সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট
  • সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ
  • সুনামগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, সুনামগঞ্জ
  • সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ সদর সুনামগঞ্জ
  • সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ, সুনামগঞ্জ সদর সুনামগঞ্জ

অর্থনীতিঃ
মাথাপিছু আয় ৩৫৯০ ডলার।কৃষি নির্ভর অর্থনীতি।অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল।ধান উৎপাদনে এ জেলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে সমগ্র বাংলাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশ খাদ্যে আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। মূলতঃ পাথর শিল্প, মৎস্য, ধান, সিমেন্ট শিল্প।

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বঃ
  • সৈয়দ শাহনুর –– সাহিত্যিক এবং মরমী সাধক কবি ।
  • সৈয়দা শাহার বানু –– সিলেটে নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক।
  • হাসন রাজা ––  জমিদার ও বাউল শিল্পী এবং মরমী কবি ।
  • মানিক লাল রায় –– বীর মুক্তিযোদ্ধা ও  রাজনীতিবিদ এবং  শিক্ষক ।
  • মুহিবুর রহমান মানিক –– রাজনীতিবিদ এবং সংসদ সদস্য।
  • আব্দুস সামাদ আজাদ –– বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রবাসী সরকারের রাষ্ট্রদূত , সাবেক সাংসদ,  এবং ৫ম সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা।
  • এম এ মান্নান –– রাজনীতিবিদ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী।
  • কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন –– সাবেক সংসদ সদস্য এবং রাজনীতিবিদ ।
  • কামাল উদ্দিন –– গীতিকার, ভাষা সৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক একজন মরমী সাধক।
  • কাঁকন বিবি –– বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত ।
  • রাধারমণ দত্ত ––  বৈঞ্চব বাউল সাধক কবি, সাহিত্যিক এবং ধামালি নৃত্যের প্রবর্তক।
  • রামকানাই দাশ –– লোকসংগীতশিল্পী ও  একুশে পদক প্রাপ্ত শাস্ত্রীয় এবং সংগ্রাহক।
  • আলোকচিত্রে হাসন রাজা যাদুঘর।
  • দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ––  একুশে পদক প্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক এবং যিনি দর্শন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেছেন ।
  • ধ্রুব এষ –– চারুকলা শিল্পী ও প্রচ্ছদ শিল্পী।
  • মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী –– বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।
  • শাহ মোহাম্মদ ইসকন্দর মিয়া –– গীতিকার এবং  মরমী সাধক ।
  • শাহেদ আলী –– সংস্কৃতিসেবী  এবং একুশে পদক প্রাপ্ত সাহিত্যিক  ।
  • সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত –– সাবেক সাংসদ ও রেলমন্ত্রী এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদ।
  • সুষমা দাস –– একুশে পদক প্রাপ্ত লোকসংগীতশিল্পী।
  • আছিম শাহ –– সুফী সাধক এবং মরমী গীতিকার।
  • আনোয়ার চৌধুরী ––  ব্রিটিশ হাই কমিশনার হিসাবে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী প্রথম বাঙালি।এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশী কূটনীতিবিদ ।
  • আবুল হাসনাত আব্দুল হাই –– সাবেক সংসদ সদস্য এবং  রাজনীতিবিদ ।
  • দুর্বিন শাহ –– লোক সাহিত্যের ভাষ্যকার ও বাউল সাধক এবং মরমী গীতিকবি।
  • সুহাসিনী দাস –– ব্রিটিশ বিরোধী এবং বাংলাদেশী নারী সংগঠক যিনি ভারতের স্বাধীনতা অন্দোলনের পূর্ব বাংলায় বিপ্লবী ভূমিকা পালন করেন।
  • শাহ আবদুল করিম –– বাউল সম্রাট নামে অধিক পরিচিত এবং একুশে পদক প্রাপ্ত বাউল শিল্পী ।
সড়ক, রেল ও নৌপথঃ
সড়ক যোগাযোগঃ
সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কটিই জেলার সড়ক যোগাযোগের প্রধানতম পথ। এ পথেই রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা হয়। সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা হয়ে নেত্রকোনা জেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের নিমিত্তে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্প নির্মাণাধীন। এছাড়া সুনামগঞ্জ-ছাতক আঞ্চলিক সড়ক, সুনামগঞ্জ-দিরাই আঞ্চলিক সড়ক, সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর আঞ্চলিক সড়ক, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক সড়কের মাধ্যমে জেলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে উপজেলাগুলো।


মানুষ চেনার উপায় জানতে ভিজিট করুন -
ভালো মানুষের গুনাগুন ও খারাপ মানুষ চেনার উপায়

রেল যোগাযোগঃ
জেলার ছাতক উপজেলার সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ রয়েছে। রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনে সিলেট-ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ সদর পর্যন্ত রেলপথ পরিকল্পনাধীন।

নৌ যোগাযোগঃ
প্রাচীন কাল থেকে সুনামগঞ্জের সাথে ঢাকা শহরের নৌ যোগাযোগ ছিল। সুরমা নদী হয়ে এ যোগাযোগ এখনো অব্যাহত আছে।

নদনদীঃ
সুনামগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন নদী রয়েছে । যেমনঃ সুরমা নদী, পিয়াইন নদী, জাদুকাটা নদী, সারী-গোয়াইন, সোনালী চেলা, ঘানুয়ারা নদী, বোকা নদী। এসব নদীকে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন জীবন ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে । নদীপথে যাতায়াতে নদী গুলোর অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে।জেলেদের  জীবিকা নির্বাহের জন্য এই নদীগুলো অন্যতম মাধ্যম।

দর্শনীয় স্থানঃ
  • হাসন রাজার বাড়ি
  • গৌরারং জমিদার বাড়ি
  • হাওলি জমিদার বাড়ি
  • পানাইল জমিদার বাড়ি
  • বাউল আব্দুল করিম স্মৃতি যাদুঘর
  • নারায়ণতলা
  • সৈয়দপুর গ্রাম
  • পাইলগাঁওয়ের জমিদার বাড়ি
  • বাঁশতলা শহীদ স্মৃতিসৌধ
  • লাউড়েরগর
  • বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম মিউজিয়াম ধল
  • শ্রী শ্রী ঠাকুরবাণীর থলা
  • শাহ আরেফিন মাজার
  • টাঙ্গুয়ার হাওর
  • শিমুল বাগান
  • নীলাদ্রি লেক
  • নারায়ণতলা মিশন
  • পণতীর্থ স্মৃতি ধাম
  • ডলুরা স্মৃতি সৌধ
  • টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প
  • সুখাইড় জমিদার বাড়ী
  • শাহ কালাম কোহাফাহ্‌ (রহ.)-এর রওজা
  • সিরাজ উদ্দীন লেক
  • সাচনা জমিদার বাড়ি

Post a Comment

0 Comments

Ads 4