মাছ একটি শীতল রক্তবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী প্রাণী যার শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ফুলকা রয়েছে, চলাচলের জন্য রয়েছে যুগ্ম অথবা অযুগ্ম পাখনা ,এদের দেহে সচরাচর আঁইশ থাকে, সাধারণত এরা পানিতেই বসবাস করে থাকে।
সাধারণত এদের দেহের বহির্ভাগ আঁশ দ্বারা আচ্ছাদিত; তবে আঁশ নেই এমন মাছের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। এরা সমুদ্রের লোনা জল এবং স্বাদু জলের নদী, হ্রদ, হাওর, বাওর, খাল, বিল, পুকুর, ডোবায় বসবাস করে থাকে। এরা পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে শুরু করে মহাসাগরের গহীন অতল স্থানে বাস করে। অর্থাৎ যেখানেই পানি রয়েছে সেখানেই মাছের চাষ বা মাছের অস্তিত্ব পাওয়া যেতে পারে।
পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই মাছ মানুষের পুষ্টিগুন সম্পন্য খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত থাকে। মাছে রয়েছে প্রচুর পারিমানে আমিষ যা মানবদেহে অন্যতম আমিষ যোগানদাতা।
ছোটো মাছের পুষ্টি উপাদান
ছোট মাছে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। ছোট মাছে রয়েছে ক্যালসিয়ামের এক অনন্য উপাদান। ছোট পুঁটি, ছোট চিংড়ি, স্বরপুঁটি, কাঁচকি, কৈ, শিং, বাঁশপাতা, পাতাশি, মাগুর, মলা, ঢেলা, চাঁদা, মৌরলা, কাজলি, পিউলি, ইত্যাদি জাতীয় মাছে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘এ’ ক্যালসিয়াম এবং, প্রোটিন ।
মানবদেহে দৈনন্দিন ক্যালসিয়ামের চাহিদা পুরনে ছোটো মাছ বেশ বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী মা এবং প্রসূতি মায়েদের ক্যালসিয়ামের চাহিদা থাকে অনেক গুনে বেশি। বাচ্চাদের হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত দরকারি একটি উপাদান। তাই মানব দেহের উপকারের জন্যেই দৈনন্দিন আমাদের খাবারের তালকাতে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ ছোট মাছ রাখা উচিত।
পুষ্টি উপাদান সমূহ নিম্নরূপ
- কার্বোহাইড্রেট - ৩.১ গ্রাম
- ভিটামিন-সি - ১৫ মিলিগ্রাম
- লৌহ বা আয়রন - ১.০ মিলিগ্রাম
- এনার্জি - ১০৬ কিলোক্যালরি
- জলীয় অংশ - ৭৫.০ গ্রাম
- খনিজ পদার্থ - ১.৪ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম - ১১০ মিলিগ্রাম
- প্রোটিন/আমিষ - ১৮.১ গ্রাম
- চর্বি/ফ্যাট - ২.৪ গ্রাম
আরও জানুন 👇
জাম খাওয়ার উপকারিতা ও জামের পুষ্টি উপাদান
আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টি উপাদান
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা । ঘরে বসেই কিসমিস তৈরির নিয়ম
তেলের উৎপন্ন ও প্রকারভেদ এবং তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা ?
ছোটো মাছের উপকারিতা
চোখের যত্নে ছোটো মাছ
ছোট মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকায়, রাতকানা, অন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়াও দৈনন্দিন অনেক শারিরীক সমস্যা দূর করতে ছোটো মাছ খবই উপকারি। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ছোটো মাছ, মলা, চাঁদা, ঢেলা ও গুঁড়া মাছ খাওয়ানো উচিত। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে মানবদেহের জন্যও গুঁড়া মাছ খুবই প্রয়োজন।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খনিজ লবণ সমৃদ্ধ গুঁড়া মাছ উপকারী। হৃদরোগী, স্ট্রোকের রোগীর ও গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী মায়ের জন্য গুঁড়া মাছ খুবই উপকারী ।
উচ্চ রক্তচাপ
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ গুঁড়া মাছ খেতে পারেন যা ব্ল্যাডপ্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ।
কয়েকটি ছোট মাছের পুষ্টি গুনাগুন
পুঁটি মাছ
মলা মাছ
- ক্যালসিয়াম- ৮৫৩ মিলিগ্রাম ।
- আয়রন ৫.৭ মিলিগ্রাম ,
- ভিটামিন ‘এ’ - ২০০০ ইউনিট ,
- জিংক - ৩.২ মিলিগ্রাম ।
ট্যাংরা মাছ
কাচকি মাছ
ছোটো মাছ খাওয়ার কিছু সতর্কতা
আরও পড়ুন 👇
তথ্যসূত্র - প্রথম আলো - উইকিপিডিয়া
চিত্রসূত্র - Photo by Oziel Gómez from Pexels
0 Comments