Auto Ads 1

নাটোর জেলা সকল তথ্য



নাটোর জেলার ইতিহাসঃ

অষ্টাদশ শতকের শুরুতে নাটোর রাজবংশের উৎপত্তি হয়। ১৭০৬ সালে পরগণা বানগাছির জমিদার গণেশ রায় ও ভবানী চরণ চৌধুরী রাজস্ব প্রদানে ব্যর্থ হয়ে চাকরিচ্যুত হন। দেওয়ান রঘুনন্দন জমিদারিটি তার ভাই রামজীবনের নামে বন্দোবস্ত নেন । এভাবে নাটোর রাজবংশের পত্তন হয়। রাজা রামজীবন নাটোর রাজবংশের প্রথম রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন ১৭০৬ সালে মতান্তরে ১৭১০ সালে । ১৭৩৪ সালে তিনি মারা যান । ১৭৩০ সালে রাণী ভবানীর সাথে রাজা রাম জীবনের দত্তক পুত্র রামকান্তের বিয়ে হয় । রাজা রাম জীবনের মৃত্যুর পরে রামকান্ত নাটোরের রাজা হন। ১৭৪৮ সালে রাজা রামকান্তের মৃত্যুর পরে নবাব আলীবর্দী খাঁ রাণী ভবানীর ওপর জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন । রাণী ভবানীর রাজত্বকালে তার জমিদারি বর্তমান রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর, রংপুর, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ , বীরভূম, মালদহ জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

পোস্ট সূচিপত্র

👉 নাটোর জেলার পটভূমি
👉 নাটোর জেলার ভৌগোলিক সীমানা
👉 নাটোরের প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
👉 নাটোরের সংসদীয় আসন সংখ্যা
👉 নাটোর জেলার উপজেলাগুলো সমূহ
👉 নাটোর জেলার পৌরসভা সমূহ
👉 নাটোর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা
👉 নাটোরের অর্থনীতি
👉 নাটোর জেলার শিল্প প্রতিষ্ঠান
👉 নাটোরের উল্যাখযোগ্য ব্যক্তিগনের নাম
👉 নাটরের দর্শনীয় স্থান সমূহ

নাটোরে নীল বিদ্রোহ ১৮৫৯-১৮৬০ তে সংঘটিত হয়। ১৮৯৭ সালের জুনে নাটোরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের অধিবেশন হয় । সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সভাপতি, মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি ও প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের চেষ্টায় সেবারই প্রথম রাজনৈতিক সভায় বাংলা ভাষার প্রচলন করা হয়। ১৯০১ সালে মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ কলকাতা কংগ্রেসের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি হন। ১৮৪৫ সালে রাজশাহী জেলার অধীনে নাটোর মহকুমার সৃষ্টি। আর অন্যান্য মহকুমার মতো জেলায় উন্নীত হয় ১৯৮৪ সালে।

১৯৭১ সালের ৫ মে গোপালপুরের চিনিকলের এম.ডি. মো. আজিম সহ প্রায় ২০০ মানুষকে নৃশংসভাবে পাকবাহিনী হত্যা করে। এই বধ্যভূমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ মিনার এবং রেলস্টেশনের নামকরণ হয়েছে আজিমনগর। ১৭৬৯-১৮২৫ সাল পর্যন্ত নাটোর রাজশাহীর জেলার সদর দফতর ছিল। প্রতিস্থাপনের প্রাক্কালে নাটোরকে মহকুমা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল; সে কারণেই নাটোর বাংলাদেশের প্রথম মহকুমা। নাটোর ১৯৮৪ সালে একটি জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

নাটোর জেলার পটভূমি


নাটোর মুঘল শাসনামলের শেষ সময় থেকে বাংলার ক্ষমতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়। বিশেষ করে নবাবী আমলে নাটোরের ব্যাপক ব্যাপ্তি ঘটে। বাংলার সুবেদার মুর্শিদ কুলী খানের (১৭০১-১৭২৭ শাসনকাল) প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বরেন্দ্রী ব্রাহ্মণ রঘুনন্দন তার ছোটভাই রামজীবনের নামে এতদ অঞ্চলে জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। রাজা রামজীবন রায় নাটোর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। কথিত আছে লস্কর খাঁতার সৈন্য-সামন্তদের জন্য যে স্থান হতে রসদ সংগ্রহ করতেন, কালক্রমে তার নাম হয় লস্করপুর পরগনা। এই পরগনার একটি নিচু চলাভূমির নাম ছিল ছাইভাংগা বিল। 

১৭১০ সনে রাজা রামজীবন রায় এই স্থানে মাটি ভরাট করে তার রাজধানী স্থাপন করেন। কালক্রমে মন্দির, প্রাসাদ, দীঘি, উদ্যান ও মনোরম অট্টালিকা দ্বারা সুসজ্জিত নাটোর রাজবাড়ী প্রস্তুত হয়। পরে আস্তে আস্তে পাশের এলাকায় ঊন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একসময় নগরী পরিণত হয়। সুবেদার মুর্শিদ কুলী খানের সুপারিশে মুঘল সম্রাট আলমগীরের নিকট হতে রামজীবন ২২ খানা খেলাত এবং রাজা বাহাদুর উপাধি লাভ করেন। নাটোর রাজ্য উন্নতির চরম শিখরে পৌছে রাজা রামজীবনের দত্তক পুত্র রামকান্তের স্ত্রী রাণী ভবানীর রাজত্বকালে ।

১৭৮২ সালে ক্যাপ্টেন রেনেল এর ম্যাপ অনুযায়ী রাণী ভবানীর জমিদারীর পরিমাণ ছিল ১২৯৯৯ বর্গমাইল । শাসন ব্যবস্থার সুবিধার জন্য সুবেদার মুর্শিদ কুলী খান বাংলাকে ১৩ টি চাকলায় বিভক্ত করেন। এর মধ্যে রাণী ভবানীর জমিদারী ছিল ৮ চাকলা বিস্তৃত। এই বিশাল জমিদারীর বাৎসরিক আয় ছিল দেড় কোটি টাকার অধিক। বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, যশোর এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলাব্যাপী বিস্তৃত ছিল তার রাজত্ব। এছাড়া ময়মনসিংহ জেলার পুখুরিয়া পরগণা এবং ঢাকা জেলার রাণীবাড়ী অঞ্চলটিও তার জমিদারীর অন্তর্গত ছিল। এ বিশাল জমিদারীর অধিশ্বরী হওয়ার জন্যই তাকে মহারাণী উপাধী দেয়া হয় এবং তাকে অর্ধ-বঙ্গেশ্বরী হিসাবে অভিহিত করা হতো। একে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ সামন্তরাজ এবং এক মহিয়ষী নারীর রাজ্যশাসন ও জনকল্যাণ ব্যবস্থা।

নাটোরের রাজারা এই বিশাল জমিদারী পরিচালনা করতো নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় । নবাবী আমলে তাদের নিজস্ব দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিচারের ক্ষমতা ছিল। শান্তি শৃংখলা রক্ষার জন্য তাদের নিজস্ব পুলিশবাহিনী এবং জেলখানা ছিল। ১৮৭৩ সালে ইংরেজ সরকারের এক ঘোষণাবলে রাণী ভবানীর দত্তকপুত্র রামকৃষ্ণ এর হাত থেকে কোম্পানী পুলিশ ও জেলখানা নিজ হাতে তুলে নেয়। কোম্পানী নিজহাতে জেলখানার দায়িত্ব নিয়ে প্রতি জেলায় জেলখানা স্থাপন করে। ইংরেজদের কর্তৃক পরিচালিত প্রথম জেলখানা নাটোরে প্রতিষ্ঠিত হয়।

রাণী ভবানীর শাসনামল পর্যন্ত নাটোর শহরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রবাহিত হতো স্রোতস্বিনী নারদ নদ । পরবর্তীকালে নদের গতিমুখ বন্ধ হয়ে গেলে সমগ্র শহর এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে নিপতিত হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বদ্ধজল এবং পয়ঃনিষ্কাশনের একমাত্র সংযোগস্থল ছিল নারদ নদ। সেই নদ অচল হয়ে পড়ায় শহরের পরিবেশ ক্রমাগত দূষিত হয়ে পড়ে। ইংরেজ শাসকরা সেজন্য জেলাসদর নাটোর হতে অন্যত্র স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করে। মি. প্রিংগল ১৮২২ সালে ২৩ শে এপ্রিল জেলাসদর হিসাবে পদ্মানদীর তীরবর্তী রামপুর-বোয়ালিয়ার নাম ঊল্লেখ করে প্রস্তাবনা পেশ করেন। ১৮২৫ সালে নাটোর থেকে জেলা সদর রামপুর-বোয়ালিয়াতে স্থানান্তরিত হয়। জেলা সদর স্থানান্তরের পর ইংরেজ সরকার মহকুমা প্রশাসনের পরিকাঠামো তৈরি করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মহকুমা হিসাবে নাটোরের পদাবনতি ঘটে। তারপর দীর্ঘ ১৬৫ বছর অর্থাৎ ইংরেজ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের চৌদ্দ বছরের প্রশাসনিক ইতিহাসে নাটোর মহকুমা সদর হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৯৮৪ সালে বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ভেঙ্গে নাটোর পুনরায় জেলাসদরের মর্যাদা লাভ করে।

দিঘাপতিয়ার জমিদার বাড়ী (বর্তমানে উত্তরা গণভবন)

রাজা রামজীবন রায় ১৭৩০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি রাজা রামকান্ত রায় কে রাজা এবং দেওয়ান দয়ারাম রায়কে তার অভিভাবক নিযুক্ত করেন। রামকান্ত রাজা হলেও প্রকৃত পক্ষে সম্পূর্ণ রাজকার্যাদি পরিচালনা করতেন দয়ারাম রায়। তার দক্ষতার কারণে নাটোর রাজবংশের ঊত্তোরত্তর সমবৃদ্ধি ঘটে। ১৭৪৮ সালে রামকান্ত পরলোক গমন করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর রাণী ভবানীকে নবাব আলীবর্দী খাঁ বিস্তৃত জমিদারী পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। নাটোরের ইতিহাসে জনহিতৈষী রাণী ভবানী হিসেবে অভিহিত এবং আজও তার স্মৃতি অম্লান। বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলার সাথে রাণী ভবানীর আন্তরিক সুসম্পর্ক ছিল। পলাশীর যুদ্ধে রাণী ভবানী নবাবের পক্ষ অবলম্বন করেন।

পরবর্তীতে রাণী ভবানীর নায়েব দয়ারামের উপরে সন্তুষ্ট হয়ে তিনি দিঘাপতিয়া পরগনা তাকে উপহার দেন। দিঘাপতিয়ায় প্রতিষ্ঠিত বর্তমান উত্তরা গণভবনটি দয়ারামের পরবর্তী বংশধর রাজা প্রমদানাথের সময় গ্রীক স্থাপত্য কলার অনুসরনে রূপকথার রাজ প্রাসাদে উন্নীত হয়। কালক্রমে এই রাজপ্রাসাদটি প্রথমত গভর্নর হাউস, পরবর্তীতে বাংলাদেশ অভ্যূদয়ের পরে উত্তরা গণভবনে পরিণত হয়।

নাটোর জেলার ভৌগোলিক সীমানাঃ


এই জেলার উত্তরে নওগাঁ জেলা ও বগুড়া জেলা, দক্ষিণে পাবনা জেলা ও কুষ্টিয়া জেলা, পূর্বে পাবনা জেলা ও সিরাজগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে রাজশাহী জেলা অবস্থিত। আয়তন ১৯০৫.০৫ বর্গ কিলোমিটার। নাটোরসহ এর পার্শ্ববর্তী বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে অবস্থিত চলন বিল হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে কমবৃষ্টিপাত হয় নাটোরের লালপুর উপজেলায়।

নাটোরের প্রশাসনিক এলাকাসমূহ


নাটোর জেলা ৭ টি উপজেলা,৭টি থানা এবং ৮টি পৌরসভা রয়েছে।নাটোরে সংসদীয় আসন ৪টি। নাটোর

নাটোরের সংসদীয় আসন সংখ্যা

  • (৫৮) নাটোর-১ লালপুর,বাগাতিপাড়া
  • (৫৯) নাটোর-২ সদর,নলডাঙ্গা
  • (৬০) নাটোর-৩ সিংড়া
  • (৬১) নাটোর-৪ গুরুদাসপুর,বড়াইগ্রাম।

নাটোর জেলার উপজেলাগুলো সমূহঃ

  • নাটোর সদর উপজেলা
  • বাগাতিপাড়া উপজেলা
  • বড়াইগ্রাম উপজেলা
  • গুরুদাসপুর উপজেলা
  • লালপুর উপজেলা
  • সিংড়া উপজেলা
  • নলডাঙ্গা উপজেলা

নাটোর জেলার পৌরসভা সমূহঃ

  • নাটোর পৌরসভা (ক শ্রেনী)
  • সিংড়া পৌরসভা (ক শ্রেনী)
  • গুরুদাসপুর পৌরসভা (ক শ্রেনী)
  • বড়াইগ্রাম পৌরসভা (খ শ্রেনী)
  • গোপালপুর পৌরসভা (খ শ্রেনী)
  • বাগাতিপাড়া পৌরসভা (গ শ্রেনী)
  • বনপাড়া পৌরসভা (ক শ্রেনী)
  • নলডাঙ্গা পৌরসভা (খ শ্রেনী)

এছাড়া এই জেলায় ১টি হাইওয়ে থানা,বনপাড়া হাইওয়ে থানাঃ
  • ১টি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি
  • ২টি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র বনপাড়া ও আব্দুলপুর
  • ৬টি পুলিশ ফাঁড়ি কালীগঞ্জ,বামিহাল,উপরবাজার, নিচাবাজার,ওয়ালিয়া, জামনগর ।

👉 আরও জানুন  👇

ঝিনাইদহ জেলার সকল তথ্য

সাতক্ষীরা জেলার সকল তথ্য

যশোর জেলার ইতিহাস ও নামকরন



নাটোর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা

শিক্ষাঃ নাটোর জেলায় সাক্ষরতার হার ৭০%।এই জেলায় ১ টি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি আর্মি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি সরকারি টেক্সটাইল ইনিস্টিটিউট,৮টি সরকারি কলেজ সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চিকিৎসাঃ জেলা হাসপাতাল ১টি,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৬টি,মাতৃসদন ২টি, কমিউনিটি ক্লিনিক ১২৪টি, বেসরকারি হাসপাতাল ২৮টি,ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৫২টি,সামরিক হাসপাতাল ১টি, মিশন হাসপাতাল ২টি। এই জেলায় কোন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নেই ফলে বিভিন্ন সময় এ জেলার মানুষকে চিকিৎসা সেবার জন্য পাশ্ববর্তী জেলার নির্ভর করতে হয় যা অনেক কষ্টকর। এই জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা কেবলমাত্র সময়ের দাবি।

নাটোরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর নাম সমুহঃ

  • নাটোর সিটি কলেজ
  • নাটোর মহিলা কলেজ
  • সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
  • সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • নাটোর সুগারমিল উচ্চ বিদ্যালয়
  • গ্রীন একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়
  • ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
  • বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BAUET)
  • নাটোর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট
  • নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ
  • রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • আব্দুলপুর সরকারি কলেজ লালপুর
  • শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজ
  • বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ
  • রাণী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজ
  • দিঘাপতিয়া এম. কে. কলেজ
  • মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়
  • নব বিধান গার্লস স্কুল
  • শের ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়
  • পারভীন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়
  • তেবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • বড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়
  • কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
  • করিমপুর ‍সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আব্দুলপুর
  • নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস হাই স্কুল
  • চামারী বি.এন. উচ্চ বিদ্যালয়
  • কাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • তিরাইল উচ্চ বিদ্যালয়
  • ইয়াছিনপুুুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • পীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
  • মৌখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয়
  • রাজাপুর ডিগ্রি কলেজ বড়াইগ্রাম নাটোর
  • গোল-ই-আফরোজ কলেজ
  • কলম উচ্চ বিদ্যালয়
  • চৌগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
  • মহিষমারী উচ্চ বিদ্যালয়
  • কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার
  • মহারাজা জে.এন উচ্চ বিদ্যালয়
  • গুরুদাসপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
  • বাগাতিপাড়া পাইলট স্কুল
  • কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, দয়ারামপুর, নাটোর
  •  রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  •  সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ
  • কাছিকাটা স্কুল এন্ড কলেজ
  • সিংড়া চলনবিল মহিলা ডিগ্রি কলেজ
  • সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজ
  • নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • মহিষমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

👉আরও পড়ুন 👇

দোয়া কবুল হওয়ার গুরুত্বপুর্ণ আমল ও সঠিক নিয়ম

সফল হওয়ার ১১ টি সেরা উপায়

অভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়া ও আমল

ফরিদপুর হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নাম-ঠিকানা ও যোগাযোগের নাম্বার ! Faridpur


নাটোরের অর্থনীতিঃ

জেলার প্রধান উৎপাদিত ফসল হলো ধান । এছাড়াও এখানে রসুন, ইক্ষু, গম, ভুট্টা, আখ, পান ইত্যাদি উৎপাদিত হয়। এখানকার বিলুপ্তপ্রায় ফসল নীল, বোনা আমন ও আউশ ধান। এখানে বেশ কয়েকটি ভারি শিল্প রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুইটি চিনিকল, ডিস্টিলারি,প্রান জুসের কারখানা,দত্তপাড়া বিসিক এলাকা,রাজলংকা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র,চামড়া সংরক্ষণ ও পক্রিয়াকরন এলাকা (চামড়াপ্পট্টি), জুট মিল (প্রস্তাবিত),পদ্মা অয়েল সংরক্ষণ এলাকা রয়েছে,যা নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পাশে।এইখানে ওয়ানগনবাহী ট্রেন থেকে তেল উত্তলোন করা হয়। দেশের ১৬টি চিনিকলের মধ্যে ২টি এই জেলায় অবস্থিত। এছাড়াও মূলতঃ এই জেলায় উৎপাদিত আখের উপর নির্ভর করে পার্শ্ববর্তী রাজশাহী ও পাবনা জেলায় গড়ে উঠেছে আরও দুইটি চিনিকল।

এছাড়া বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রাণ কোম্পানীর বেশিরভাগ কাঁচামাল ( আম , লিচু , বাদাম , মুগ ডাল, সুগন্ধি চাল ইত্যাদি) নাটোর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে।সম্প্রতি এখানে আপেল কুল, বাউ কুল,থাই কুলের ব্যাপক চাষ হচ্ছে ।

নাটোর জেলার শিল্প প্রতিষ্ঠানঃ

  • নাটোর সুগার মিল লিমিটেড
  • নর্থ বেঙ্গল সুগারমিল লালপুর
  • যমুনা ডিস্টিলারি লিমিটেড
  • চামড়া শিল্প
  • নাটোর বিসিক শিল্প এলাকা
  • রাজলংকা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র
  • প্রাণ এগ্রো লিমিটেড
  • পারটেক্স এগ্রো লিমিটেড
  • কিশোয়ান এগ্রো লিমিটেড
  • পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড
  • নাটোর এগ্রো লিমিটেড
  •  নাটোর অর্থনৈতিক অঞ্চল -১ লালপুর,নাটোর ১
  •  নাটোর অর্থনৈতিক অঞ্চল-২নাটোর সদর,নাটোর
  • নবতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড

এছাড়া অনেক মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে।

নাটোরের উল্যাখযোগ্য ব্যক্তিগনের নাম

  • মাদার বখশ - রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্রষ্টা
  • মোঃ মাকসুদুর রহমান - জিন রহস্য আবিষ্কারক;
  • রাধাচরন চক্র্যবর্তী -সাহিত্যিক
  • এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাশার]], বীর উত্তম
  • অধ্যক্ষ এম. এ. হামিদ।
  • তাইজুল ইসলাম (ক্রিকেটার, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল)।
  • আলমগীর মহিউদ্দিন, সম্পাদক দৈনিক নয়া দিগন্ত।
  • হানিফ উদ্দীন মিয়া (পরমানুবিদ),উপমহাদেশের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার
  • প্রফেসর ড.সরকার সুজিত কুমার, অধ্যাপক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
  • প্রফেসর এম আবদুস সোবহান, উপাচার্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
  • শংকর গোবিন্দ চৌধুরী(রাজনীতিবিদ)
  • জুনাইদ আহমেদ পলক - রাজনীতিবিদ।
  • ফরিদা পারভিন - লালন শিল্পী
  • লতিফুল ইসলাম শিবলী - গীতিকার, সুরকার, সংগীত শিল্পী, নাট্যকার, লেখক
  • আমজাদ খান চৌধুরী - ব্যবসায়ী, প্রধান নির্বাহী- প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ
  • আবু হেনা রনি - একজন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান , অভিনেতা, উপস্থাপক ও মডেল।
  • সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা - সঙ্গীত শিল্পী, ক্লোজআপ ওয়ান-২০১২ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন
  • মহারাজা জগদিন্দনাথ রায় - রাজনীতিবিদ ও সমাজ সংস্কারক; ব্রিটিশ ভারতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে তার অবদান ছিল।
  • রাণী ভবাণী
  • শফিউদ্দিন সরদার(ঐতিহাসিক ঔপন্যাসিক)। নাটোর সদর।
  • প্রমথনাথ বিশী(১১ জুন ১৯০১-১০ মে ১৯৮৫) একজন লেখক,শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক।
  • প্রফেসর আব্দুস ছাত্তার, ডিপার্টমেন্ট অব ওরিয়েন্টাল আর্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
  • কার্তিক উদাস,বাউল(বাংলাদেশ বেতার), লেখক, শিক্ষক।
  • স্যার যদুনাথ সরকার - সাহিত্যিক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য ছিলেন।
  • শরৎ কুমার রায়- বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর এর প্রতিষ্ঠাতা

নাটরের দর্শনীয় স্থান সমূহঃ

  • নাটোর রাজবাড়ি
  • উত্তরা গণভবন (দিঘাপতিয়ার রাজবাড়ি)
  • পদ্মার চর, লালপুর
  • পদ্মার তীর, লালপুর
  • তিসীখালি মাজার
  • ধরাইল জমিদার বাড়ি
  • আত্রাই নদী
  • চলনবিল জাদুঘর
  • লুর্দের রানী মা মারিয়ার ধর্মপল্লী, নাটোর
  • গ্রীন ভ্যালি পার্ক, লালপুর
  • শহীদ সাগর, লালপুর
  • বুধপাড়া কালীমন্দির, লালপুর
  • ভেল্লাবাড়ি মসজিদ, লালপুর
  • গোসাই আশ্রম, লালপুর
  • দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি
  • হালতির বিল
  • বঙ্গজল রাজবাড়ী বা রানীভবানী রাজবাড়ী
  • চৌগ্রাম জমিদার বাড়ি
  • চলনবিল

Post a Comment

0 Comments

Ads 4