Auto Ads 1

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও পেয়ারার পুষ্টিগুন

পেয়ারার উপকারিতা



আরও জানুন -

মধু খাওয়ার নিয়ম এবং মধুর অসাধারণ গুনাগুন

তুলসী পাতার উপকারিতা ও তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও লেবুর পুষ্টিগুন

গরম পানি খাওয়ার নিয়ম ও গরম পানির উপকারিতা

লাল চা খাওয়ার নিয়ম ও লাল চায়ের উপকারীতা

বৃষ্টির পানির উপকার ও ব্যবহারের নিয়ম

দাতের ব্যথায় করনীয় এবং ঘরোয়া টোটকামাইগ্রেন কি কেনো হয় এবং হলে করনীয় কি

পেয়ারার পুষ্টিগুণ:

পেয়ারাতে আছে ফলিক এসিড আর এই ফলিক এসিড গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই প্রয়োজন। ডাক্তাররা সব গর্ভবতী মায়েদেরই ফলিক এসিড দিয়ে থাকেন কারণ এটি বাচ্চার নার্ভাস সিস্টেমকে উন্নত করতে বেশ কার্য্যকরী। আর সেই সাথে এটি বাচ্চদের নিউরোলোজিক ডিজঅর্ডার থেকে অনেক দুরে রাখে।

পেয়ারাতে আছে কমলালেবুর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ ।

আয়রন এবং প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি তে ভরা পেয়ারা ফলটি যার কারণে বুকের কফ নিরাময়ে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। কারো যদি গলায় কফ জমে থাকে তাহলে পেয়ারা খুবই ভাল ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস, ক্যানসার , অ্যাজমা, স্কার্ভি, ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী ফল এটি৷

শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যায় নিরাময় খুবই কার্য্যকরী ভূমিকা পালন করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য , সর্দি-কাশি, ও আমাশয়সহ পেটের অসুখ সারাতে পেয়ারার রস খুবই কার্য্যকরী

এবং পেয়ারা শরিরের ওজন কমাতে সাহায্য করে

বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা প্রকার রোগ সারাতে সাহায্য করে

হাঁটুব্যথা , স্মৃতিভ্রংশ ও চোখে ছানি, প্রতিরোধে সহায়তা করে। পেয়ারাতে আছে ভিটামিন ‘বি’ এবং ভিটামিন ‘এ’ কমপ্লেক্স যা শরিরের জন্য খুবই উপকার

এতে আছে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস বিটা ক্যারোটিন , পটাশিয়াম, নিকোট্রিন অ্যাসিড ও ফলিক অ্যাসিড ৷

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেয়ারা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

এটি মানব দেহের কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখে । ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পেয়ারা খেলে অনেক উপকার পাবেন ৷

পুষ্টিগুণে ভরা এই ফলটি খেলে শরিরের জন্য অনেক উপকার হয়। শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারা খুবই কার্যকরী ভুমিকা রাখে। পেয়ারাতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লাইকোপেন ও ভিটামিন ‘সি’—যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি।


Guava Benefits

পেয়ারার বিশেষ কয়েকটি গুণের মধ্যে রয়েছে, 

ক্যানসার প্রতিরোধী পেয়ারা
ক্যানসার প্রতিরোধেও পেয়ারা বেশ কার্যকরী একটি ফল। পেয়ারাতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, যা ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সহায়তা করে। প্রোস্টেট ক্যানসার ও স্তন ক্যানসারের জন্য পেয়ারা খুবই উপকারী একটী ফল।

ডায়াবেটিস সারাতে পেয়ারা
পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল, পেয়ারা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। কারণ পেয়ারায় যে আঁশ আছে, তা শরীরে চিনি শোষণ কমায়।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে পেয়ারা
পেয়ারা রাতকানা রোগ থেকে বাঁচায়। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধে পেয়ারা
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে যা শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে সর্বক্ষন লড়াই করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সহায়তা করে ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে , চোখের বিভিন্ন সমস্যায় অনেক উপকারি পেয়ারা, পেটের জন্যও অনেক উপকারী এবং ক্যানসার প্রতিরোধী এই ফলটি ।

ডায়রিয়া রোধে পেয়ারা
নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। পেয়ারা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে। পেয়ারায় আছে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অধিক ক্ষমতা।

দাতের সমস্যায় সমাধানে পেয়ারা
পেয়ারার পাতায় আছে এন্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ এবং খুব শক্তিশালি এন্টিব্যাক্টেরিয়াল ক্ষমতা আছে যা কিনা ইনফেকশনের সাথে যুদ্ধ করে এবং জীবানূ ধবংস করে। পেয়ারার পাতা দাঁত ব্যথার জন্য খুবই কার্য্যকরী একটি ওষুধ, আপনি ঘরে বসেই দাতের ব্যাথা দূর করতে পারেন।

ত্বকের যত্নে পেয়ারা
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চার যা ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।এবং শীতে পা ফাটা রোধ করে ।

অনেকেরই মুখের ভেতরে সাদা দাগের মত একটি আলসার দেখা যায় এই সমস্যাটি হয়ে থাকে ভিটামিন সি এর অভাবে, পেয়ারা খেলে এই সমস্যাটি হওয়া অনেকটাই কমে যায়।

পেয়ারা চাষের সঠিক সময়

আরও পড়ুন - নানান ধরনের জটিল রোগ নিরাময়ে ডালিম বা বেদানার ওষুধী গুনাগুন

বৈশাখ মাসে পেয়ারার চারা লাগানো শুরু হয়। পেয়ার গাছ সাধারনত ৮-৯ মাস বয়সের হলেই ফল আসা শুরু হয় এবং অতিরিক্ত বৃদ্ধি কমানো জন্য এবং ডাল সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য পেয়ারা গাছের কিছু সংখ্যক কুশি ভেঙে দেয়া হয়। কুশি ভাঙার ২০-২৫ দিনের মধ্যেই আবার নতুন করে কুশি আসা শুরু হয়। আর যত বেশি কুশি আসে তত বেশি ফল আশার সম্ভাবনা থাকে

তথ্যসূত্র - উইকিপিডিয়া এবং প্রথম আলো 

আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিন আর আমাদের সাথে যোগ দিতে অবশ্যই আমাদের কন্টাক পেজের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ।

আরও জানুন -

মধু খাওয়ার নিয়ম এবং মধুর অসাধারণ গুনাগুন

তুলসী পাতার উপকারিতা ও তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও লেবুর পুষ্টিগুন

গরম পানি খাওয়ার নিয়ম ও গরম পানির উপকারিতা

লাল চা খাওয়ার নিয়ম ও লাল চায়ের উপকারীতা

বৃষ্টির পানির উপকার ও ব্যবহারের নিয়ম

দাতের ব্যথায় করনীয় এবং ঘরোয়া টোটকামাইগ্রেন কি কেনো হয় এবং হলে করনীয় কি

Post a Comment

0 Comments

Ads 4